কোয়ান্টাম উচ্ছ্বাস: একটি বিশ্বাস একটি বাস্তবতা

শুরুর পুরোটাই ছিল বিশ্বাস। এ বিশ্বাস মানুষের অফুরন্ত সম্ভাবনায়, মস্তিষ্কের উদ্ভাবনী দক্ষতায়, শরীরের অক্লান্ত কর্মক্ষমতায়, মনের বিরামহীন প্রচেষ্টায়, আত্মার বিশুদ্ধ সম্ভাবনায় আর স্রষ্টার অসীম করুণায়। বিশ্বাস ছিল রোগকে সুস্থতায়, অভাবকে প্রাচুর্যে আর অশান্তিকে প্রশান্তিতে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা প্রতিটি মানুষের মধ্যেই রয়েছে। শুধুমাত্র দৃষ্টিভঙ্গি বদলেই সে পারে জীবনকে সুস্থ সুন্দর সফল ও সুখী করতে।

১৭ বছর আগে এ বিশ্বাস নিয়েই আমরা সবাইকে ডাক দিয়েছিলাম। আসুন দৃষ্টিভঙ্গি বদলান। মনের অফুরন্ত শক্তিকে, মস্তিষ্কের ক্ষমতাকে ব্যবহার করুন। শোক বলে কিছু থাকবে না। অশান্তি বলে কিছু থাকবে না। ৭০ ভাগ রোগ কোনোরকম ওষুধ ছাড়াই ভালো হয়ে যাবে। কারণ মনোদৈহিক রোগের শেকড়টাকে উপড়ে ফেলতে হয় মনের ভেতর থেকে। অধিকাংশই হাসাহাসি করেছেন এ নিয়ে। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানী জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম প্রথম দিনই অনুধাবন করেছিলেন কোয়ান্টাম মেথডের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা। বলেছিলেন, কোয়ান্টাম মেথড আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিপূরক। উপকার হবে চমৎকার।

শুধুমাত্র প্রবল বিশ্বাস নিয়ে শুরু করলেও  দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হতে সময় লাগে নি। প্রথম ব্যাচ থেকেই একের পর এক সাফল্য। দীর্ঘ অনিদ্রা দূর হয়ে গেল রাতে বিছানায় যেতে যেতেই।   মাইগ্রেন মাইগ্রেশন নিয়ে চলে গেল ক্লাসরুম থেকেই। এজমা-শ্বাসকষ্ট দূর হয়ে গেল। ব্যাকপেইন ভালো হলো। বহু বছর পর আবার শুরু করলেন রুকু সেজদা দিয়ে নামাজ। হাঁটু ব্যথা, বাত ব্যথা চলে গেল। স্বাভাবিক হাঁটা চলাফেরা শুরু করলেন। বাইপাস অপারেশন না করিয়েই দিব্যি ভালো আছেন ১৫ বছর ধরে। কত বিচিত্র ক্রনিক ব্যাধি যে ভালো হয়েছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। উপকৃত হয়ে অনেকেই বলেন, এটা অলৌকিক। আসলে ভিত্তি বিশ্বাস হলেও প্রক্রিয়াটা পুরোপুরি বিজ্ঞান।

১৯৭৫ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডা. হার্বার্ট বেনসনের মেডিটেশন সংক্রান্ত অনুসন্ধানী গ্রন্থ The Relaxation Response প্রকাশিত  হয়। এই বইয়ের ২৫ বছরপূর্তি সংস্করণের ভূমিকায় ২০০০ সালে ডা. বেনসন বলেন, আমরা বিগত বছরগুলোয় হাজার হাজার রোগীর চিকিৎসা করেছি। দেখেছি শিথিলায়ন ও স্বপরিচর্যার (যেমন ব্যায়াম ও পুষ্টি) মাধ্যমে মনোদৈহিক ব্যাধিগুলোর উপশম বা পূর্ণ নিরাময় হতে পারে। এই খরচহীন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসাখাত থেকে বার্ষিক ৫০ বিলিয়ন ডলার বাঁচানো সম্ভব।

ডা. বেনসন দৃঢ়তার সাথে বলেছেন, হৃদরোগ, স্কিন এলার্জি, দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা, ব্রংকিয়াল এজমা, কফ, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, আলসার, ঝিমানি, অবসাদ, হাইপারটেনশন, বন্ধ্যাত্ব, অনিদ্রা, বমিভাব, নার্ভাসনেস, সব ধরনের ব্যথা (মাথা ব্যথা, মেরুদণ্ডে ব্যথা, পেটে ব্যথা, পেশিতে ব্যথা, গিঁটে গিঁটে ব্যথা, অপারেশন পরবর্তী ব্যথা, ঘাড়, হাত ও পায়ে ব্যথা), পিরিয়ড পূর্ব যন্ত্রণা, রিউমেটয়েড আর্থ্রাইটিস নিরাময় এবং ক্যান্সার ও এইডসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্তিতে মনোদৈহিক নিরাময় প্রক্রিয়া অত্যন্ত কার্যকর।

কোয়ান্টামের শুরুতে যা ছিল আমাদের বিশ্বাস, কোর্সের রোগমুক্তির হাজার হাজার উদাহরণে তা পরিণত হয়েছে বাস্তবতায়। আর আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থার স্বর্গরাজ্য যুক্তরাষ্ট্রের ডা. বেনসন, ডা. কাবাত জিন, ডা. কার্ল সিমনটন, ডা. রিচার্ড ডেভিডসন, ডা. ডেভিড ওরমে জনসন, ডা. জন রবিন্স, ডা. বার্নি সীজেল, ডা. ডীন অরনিশ প্রমুখের গবেষণায় আমাদের বিশ্বাসই পরিণত হয়েছে পরীক্ষিত বিজ্ঞানে। ডা. বেনসনের গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯২ সালে তাকে হার্ভার্ড প্রফেসরশিপ প্রদান করা হয়। হার্ভার্ডে মাইন্ড-বডি মেডিকেল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৯৫ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ সকল ক্রনিক ব্যথা নিরাময়ে শিথিলায়নকে চিকিৎসাপ্রক্রিয়ার মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভ এবং সিনেটে ডা. বেনসনের সাক্ষ্যের প্রেক্ষিতে ১৯৯৯ সালে ‘সেন্টার ফর মাইন্ড বডি ইন্টারেকশন এন্ড হেলথ’ স্থাপনের জন্যে সরকার ১০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেন।

ডা. বেনসন তার বইয়ের নতুন সংস্করণের ভূমিকায় লেখেন, ‘১৯৭৫ সালে ৭ শতাংশ আমেরিকান শিথিলায়নের চর্চা করতো। এখন ভালো থাকার জন্যে শিথিলায়নের চর্চা করে ৩৩ শতাংশ মানুষ।’ ... ‘যুক্তরাষ্ট্রের ৬৬ শতাংশ ডাক্তার এখন রোগীদের শিথিলায়ন ও মনোদৈহিক নিরাময় প্রক্রিয়ার পরামর্শ দেন।’ ... ‘২০২৫ সাল এবং তারপর? নিঃসন্দেহে ওষুধ ও সার্জারির মধ্যে আসবে অনেক পরিবর্তন। কিন্তু আমি নিশ্চিত. মন-দেহের অফুরন্ত আত্মনিরাময় ও পুনরুজ্জীবনী ক্ষমতায় আমাদের অটল বিশ্বাসের বিজয় কেতন উড়বে অনন্তকাল ধরে।’

আসলে মন-দেহের অফুরন্ত পুনরুজ্জীবনী ক্ষমতা ও বিশ্বাসের শক্তিই সকল মানবীয় সম্ভাবনাকে বাস্তবরূপ দেয়। এই শক্তি প্রয়োগ করেই গত ১৭ বছরে হাজার হাজার মানুষ বেকারত্বকে কর্মমুখর জীবনে, সমস্যাকে নতুন সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করেছেন। ঋণজর্জরিত অবস্থা থেকে প্রাচুর্যবান হয়েছেন। দ্বন্দ্ববিক্ষুব্ধ পারিবারিক জীবনকে প্রশান্তির নীড়ে রূপান্তরিত করেছেন।

কোয়ান্টাম মন-দেহের অফুরন্ত পুনরুজ্জীবনী ক্ষমতাকেই লাখো মানুষের ব্যক্তিজীবনকে বদলে দেয়ার পাশাপাশি প্রয়োগ করেছে সামগ্রিক কল্যাণে। পরিবার ও সমাজ জীবনের অবিদ্যা ও ভ্রান্তবিশ্বাসের অন্ধকারকে আলোকিত করেছে মুক্ত বিশ্বাসের আলোয়। মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী বলেই কোয়ান্টাম সকল ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা করে। সকল মতের সকল পথের গুণীজনদের স্বাগত জানায়।

কোয়ান্টাম বিশ্বাস করে সকল ধর্মের মূল শিক্ষা এক। স্থান কাল ভাষা পরিবেশ অনুসারে ধর্মাচারে পার্থক্য রয়েছে। স্বধর্ম পালন ও অন্যের ধর্মপালনের অধিকার নিশ্চিত করাই ধর্মের শিক্ষা। কোরআন কণিকার পাশাপাশি বেদ কণিকা, বাইবেল কণিকা, ধম্মপদ কণিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে সকল ধর্মের প্রতি কোয়ান্টামের শ্রদ্ধাবোধের প্রকাশ ঘটেছে।

প্রচলিত ধারণা ছিল, আমাদের দেশে কোনো প্রোগ্রাম সময়মতো শুরু করা সম্ভব নয়। আমরা বিশ্বাস করেছি সময়মতো শুরু এবং শেষ করা সম্ভব। ৩০০ কোর্সে ১,২০০ দিন, বিভিন্ন কার্যক্রমে অন্তত আরো ১,৫০০ দিন অর্থাৎ ১৭ বছরে অন্তত ২,৭০০ দিন প্রতিটি প্রোগ্রাম সময়মতো শুরু হয়েছে কারো জন্যে অপেক্ষা না করেই। ঝড় শিলাবৃষ্টি বন্যা জলোচ্ছ্বাস সিডর তুষারপাত ভূমিকম্প হরতাল ধর্মঘট কারফিউ সবক্ষেত্রেই আমরা নিয়মের মধ্যে থেকে সময়মতো নির্ধারিত অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছি।

বিদেশি বা সরকারি অনুদান ছাড়া কোনো সেবামূলক কাজ করা সম্ভব নয়- এ ধারণাকে আমরা ভুল প্রমাণিত করেছি। আমরা বিশ্বাস করেছি স্ব-উদ্যোগ,স্ব-পরিকল্পনা,স্ব-অর্থায়নে যেকোনো সেবামূলক কাজ করা সম্ভব। আমরা বিশ্বাস করেছি ভালো কাজে কখনো অর্থের অভাব হয় না। কখনো অর্থের অভাব হয় নি। অর্থ সংগ্রহের জন্যে আমরা ব্যবহার করেছি একেবারে দেশজ মাটির ব্যাংক।

আমরা বিশ্বাস করেছি আমরা দাতার জাতি। আয়ব্যয়ের স্বচ্ছতা সম্পর্কে নিশ্চিত হলে জাতিগতভাবেই আমরা দিল খুলে দিতে পারি। এর একটি ছোট্ট প্রমাণ হচ্ছে মাটির ব্যাংক। মাটির ব্যাংক থেকে সংগৃহীত দানের পরিমাণ এখন গড়ে দিনে লাখ টাকার ওপরে। বন্যা, সিডর, জলোচ্ছ্বাস, স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম যখনই অর্থের প্রয়োজন হয়েছে, তখনই সদস্যরা এগিয়ে এসেছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে, মহিলারা তাদের হাতের বালা, গলার হার খুলে দিয়েছেন অবলীলায়।

সেবার ক্ষেত্রে কোয়ান্টাম সবসময়ই বেছে নিয়েছে কঠিন ব্যতিক্রমী কাজগুলোকে। দেশে স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমে যখন এক ধরনের স্থবিরতা চলছিলো, কোয়ান্টাম তখন দৃঢ়বিশ্বাসে কাজ শুরু করে। কোয়ান্টামের ডোনার পুল এখন দেশের সবচেয়ে সংগঠিত ও বড় ব্লাড ডোনার পুল। এই ডোনাররা বাঁচাতে সাহায্য করেছেন প্রায় আড়াই লাখ জীবন। আজ রক্তের প্রয়োজনে প্রথমেই মানুষ ছুটে আসে কোয়ান্টাম ল্যাবে।

লামার কোয়ান্টাম পল্লীও এমনি এক অসম্ভব সম্ভব হওয়ার নাম। ১০ বছর আগে তা ছিলো সে এলাকার সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর, অনুর্বর রুক্ষ পোড়া পাহাড়। মশা-ম্যালেরিয়া ছিলো নিত্যদিনের সঙ্গী। বর্ষার সময় পিচ্ছিল পাহাড়ি পথে ৭/৮ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হতো। আর এখন কোয়ান্টাম পল্লী এক বিকাশমান আলোকিত জনপদ। গাড়ি যায় গেট পর্যন্ত। গোটা পল্লী সংযুক্ত পাকা রাস্তা আর সিঁড়িতে। সারি সারি নিমগাছ। মশা-ম্যালেরিয়া নেই। পার্বত্য অঞ্চলের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর এলাকা। পল্লীতে ঢুকলেই মুহূর্তে সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। ভালো লাগার এক অপার্থিব অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হন সবাই। শত শত বঞ্চিত শিশু-কিশোর এখানে স্বপ্ন দেখে সোনালি আগামীর।

সকল আপাত অসম্ভব সম্ভবের পেছনে আমাদের শক্তি ছিল বিশ্বাস। এ বিশ্বাস ছিল মানুষের ভালত্বের ওপর, জাতিসত্ত্বার মহত্ত্বের ওপর। প্রাচ্য বা পাশ্চাত্যের কোথাও আমাদের সাধারণ মানুষের মতো ভালো মানুষ নেই। আমাদের তরুণদের চেয়ে ভালো তরুণ নেই। এত অভাব এত দারিদ্র তারপরেও এত দয়া এত মায়া এত সমমর্মিতা। কারণ ধ্যান আর ধর্মের পূণ্যভূমি এই বাংলা। বরেন্দ্রভূমি থেকেই একসময় শাসিত হতো উপমহাদেশের বিশাল অংশ। সদাচারী পূর্বসূরীদের রক্ত প্রবাহিত আমাদের ধমনীতে। ফলে আমরা দিতে জানি, আমরা পারি অন্যের জন্যে ত্যাগ করতে।

কোয়ান্টামের ১৭ বছর এই ত্যাগ ও সমমর্মিতার আধুনিক উদাহরণ। একই ফি দিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। অনেক আগে এসে পছন্দের জায়গায় বসেছেন। প্রবীণ/ বয়স্ক অনেকেই হয়তো পরে এসেছেন। কোনো চেয়ার ফাঁকা নেই। কাউকে কিছু বলতে হয় নি। তরুণ তরুণীরা নীরবে বয়স্কদের জন্যে চেয়ার ছেড়ে দিয়ে মেঝেতে বসেছেন। এ ঘটনা নিত্যদিনের।

এক হলে জায়গা না হওয়ায় ওপরে নিচে দুটো হলে আখেরি দোয়ার অনুষ্ঠান হচ্ছে। নিচের হল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, সাউন্ড সিস্টেম সুন্দর। ওপরে গরম, জানালা খোলা। বাইরের শব্দ। সাউন্ড সিস্টেম অপর্যাপ্ত। ১৩শ মানুষ ঘেমে একাকার। ১৫/২০ জন পরদিনের কার্ড নিয়ে চলে গেলেন। বাকি সবাই সারাদিন সেখানেই কাটালেন। নিচের শীতাতপের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েও কারো কোনো উত্তেজনা বা প্রতিক্রিয়া নেই। দোয়ায় নিমগ্ন থাকলেন সারাটা সময়।

নেতিবাচকতা ও হতাশায় ভরা সমাজের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমরা বলেছিলাম, ‘শোকর আলহামদুলিল্লাহ! বেশ ভালো আছি। আমাদের সাথে আসুন আপনিও ভালো থাকবেন’। কারণ আমরা জানি ভালো থাকার রহস্য। আমরা জানি ‘মন-দেহের অফুরন্ত পুনরুজ্জীবনী ক্ষমতা’ কাজে লাগানোর প্রক্রিয়া। পরিচিতরা সেদিন আমাদের ‘পাগল’ বলে স্বম্বোধন করেছিল।

১৯৭৫ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডা. বেনসনও সহকর্মী ডাক্তারদের কাছে সম্বোধিত হয়েছিলেন পাগল বলে। ২৫ বছরের মধ্যে তার মাইন্ড-বডি সিস্টেম প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্রে মেডিকেল ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্য তালিকায় স্থান পেয়েছে। সরকারিভাবে একে সন্নিবেশিত করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসাব্যবস্থার সাথে।

আমরাও পাগল অভিধায় হেসেছি। নিজেদের বিশ্বাসে অটল থেকেছি। নিরলস কাজ করেছি। অল্প অল্প করে মানুষ এসেছেন। জীবন বদলে গেছে তাদের। তারা তাদের আত্মীয় বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন। ধীরে ধীরে কোয়ান্টাম পরিবার বড় হয়েছে। ভালোর সাথে জড়ো হয়েছে বৈচিত্র। বহুমুখী হয়েছে আত্মনির্মাণ ও সৃষ্টির সেবার কর্মকাণ্ড। ব্যক্তির মন-দেহের অফুরন্ত পুনরুজ্জীবনী ক্ষমতা রূপ নিয়েছে সঙ্ঘশক্তির অপরিমেয় সামর্থ্যে।

সঙ্ঘশক্তির সুঅনুরণন নিজের ভালো থাকার পাশাপাশি সৃষ্টি করেছে সবাইকে ভালো রাখার আকুতি। লাখো মানুষের হৃদয়ের এই আকুতিই সৃষ্টি করেছে কোয়ান্টাম উচ্ছ্বাস, সৃষ্টি করেছে কল্যাণশক্তির জোয়ার। এই উচ্ছ্বাস এই জোয়ার ঘটাবে আমাদের বিশ্বাস ও শাশ্বত নৈতিক মূল্যবোধের পুনর্জাগরণ। আমাদের সাথে কোটি মানুষ বলবে আমরাও বিশ্বাস করি, আমরাও ভালো আছি।