করোনাভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জার মধ্যে পার্থক্য, উপসর্গ দেখা দিলে কী করবেন, করোনা রোগীর খাবার ও অন্যান্য

প্রায় দেড় মাস কার্যত লকডাউনের পর বাংলাদেশে সবকিছু আবার খুলে দেয়া হয়েছে। জীবনের পাশাপাশি জীবিকার গুরুত্বও সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। সংক্রমণের সাথে বসবাসের দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই প্রেক্ষিতেই তাই জানা থাকা দরকার কিছু তথ্য-

করোনাভাইরাস ও সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মধ্যে পার্থক্য

যেহেতু দুটি রোগেরই উপসর্গ প্রায় এক, তাই কোনটা ইনফ্লুয়েঞ্জা আর কোনটা করোনাভাইরাস, কিছু সাধারণ জ্ঞানের মাধ্যমে যদি তার তফাৎ করতে পারেন তাহলে শুধু শুধু আতঙ্কিত হওয়া থেকে আপনি বাঁচতে পারবেন।

১. শুকনো কাশি

করোনাভাইরাসের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে জ্বর ও শুকনো কাশি।

তবে এই কাশি গলা পরিষ্কারের কাশি বা নাকে ধোঁয়া ঢুকে হঠাৎ এসে যাওয়া কোনো কাশি নয়, এ হলো ঘণ্টাখানেক বা তারও বেশি সময় ধরে চলা বিরামহীন শুকনো কাশি যাতে কোনো শ্লেষ্মা বা আঠাল পদার্থ থাকবে না।

শরীর খুব খারাপ লাগবে এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।

ইনফ্লুয়েঞ্জাতেও কাশি শুকনো থাকে। কিন্তু শ্বাসকষ্ট সাধারণত হয় না।

আর কাশিতে যদি শ্লেষ্মা থাকে, তাহলে এটা করোনাভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জা কোনোটাই নয়, সাধারণ সর্দি।

২. জ্বর

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে যে জ্বর আসবে তাতে শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকে। থার্মোমিটারে যেমন সেটা বোঝা যাবে, তেমনি বুকে বা পিঠে হাত দিলেও তাপমাত্রা বোঝা যাবে। ইনফ্লুয়েঞ্জাতেও জ্বর আসে। ১০২ থেকে ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে।

অর্থাৎ করোনাভাইরাস এবং জ্বর- দুটিরই উপসর্গ একই।

৩. হাঁচি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি হতে পারে। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জাতে হাঁচি থাকে না সাধারণত। তবে যদি কারো এলার্জি থাকে, তাহলে অবশ্য তার হাঁচি হতেও পারে।

৪. নাক দিয়ে সর্দি পড়া

ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় নাক দিয়ে সর্দি পড়ার উপসর্গ থাকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে নাক দিয়ে সর্দি পড়ার কোনো উপসর্গ থাকে না।

৫. গলাব্যথা

গলাব্যথা করোনাভাইরাস সংক্রমণের একটি অন্যতম উপসর্গ। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে গলাব্যথা হতেও পারে। আবার নাও পারে।

৬. মাথাব্যথা

ইনফ্লূয়েঞ্জার ক্ষেত্রে রোগীভেদে মাথাব্যথা হতেও পারে। আবার নাও পারে।

কিন্তু করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে নতুন যেসব উপসর্গের কথা বলা হচ্ছে মাথাব্যথা তার অন্যতম।

৭. ডায়রিয়া, মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া, গন্ধ না পাওয়া

করোনাভাইরাসের এগুলো হলো সাম্প্রতিক উপসর্গ। এবং এগুলো সাধারণত পাঁচদিনের মধ্যে দেখা দেয়। কারো কারো ক্ষেত্রে অবশ্য এর চেয়ে দেরিও হতে পারে।

কিন্তু ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রে এসব উপসর্গ থাকে না।

তবে তার মানে এই নয় যে, এসব উপসর্গ থাকা মানেই তার করোনাভাইরাস হয়েছে। এটা শুধুমাত্র পরীক্ষা করাবার পরেই জানা যাবে।

উপসর্গ দেখা দিলে কী করবেন

এ উপসর্গগুলো যদি দেখা দেয় তাহলে প্রথম করণীয় হলো আলাদা থাকতে শুরু করা। কারণ হতে পারে এটা করোনা নয়।

কিন্তু যদি করোনা হয়, তাহলে আপনার অজান্তেই হয়তো আপনি আপনার প্রিয়জন-পরিজনকে সংক্রমিত করে ফেলতে পারেন।

কিন্তু চিন্তার কিছু নেই। এই রোগে এখন পর্যন্ত আশি শতাংশের বেশি ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে যাওয়ারই প্রয়োজন হয় না। 

৮১ শতাংশ করোনা রোগী ঘরে থেকে ব্যবস্থা নিয়ে সুস্থ হতে পারেন। (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-সিডিসি, ২০ মে ২০২০)

প্রথমেই মনে রাখতে হবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই।

করোনা রোগী কী খাবেন, কী খাবেন না-

১. খেতে হবে পর্যাপ্ত টাটকা ও পুষ্টিকর খাবার, প্রচুর তাজা ফলমূল ও শাক-সবজি।

২. এ সময়ে ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াটা জরুরী, কারণ ভিটামিন-ডি ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে শক্তিশালী ভূমিকা রাখে।

৩. দুধ, ডিম, গরুর কলিজা, কর্ড লিভার অয়েল, দই, পনির, মাখন, টুনা মাছ, মাশরুম ইত্যাদি খাবারে পাওয়া যাবে ভিটামিন-ডি। এছাড়া সূর্যের রোদও এই ভিটামিনের ভালো উৎস।

৪. ফ্লু-র বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে ভিটামিন-সি। তাই মৌসুমি টক ফল, ক্যাপসিকাম, পেঁপে, ব্রকোলি, পালং শাক, টক দইসহ ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ অন্যান্য খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবেন।

তবে এই ভিটামিন যেহেতু শরীরে মজুদ থাকে না, তাই খাবারগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে রোজই খেতে হবে।

৫. সেই সাথে প্রচুর পানি (দিনে দুই থেকে তিন লিটার) ও তরল পান করুন।

৬. চিনি ও চিনিযুক্ত খাবার বর্জন করুন; কারণ যে-কোনো প্যাথোজেন (রোগ সংক্রামক জীবাণু) সুগারের কারণে বৃদ্ধি পায়।

৭. ফাস্টফুড, প্রসেসড ফুড ও কেমিক্যালযুক্ত খাবার এবং আইসক্রিমসহ কোন ধরণের ঠাণ্ডাজাতীয় খাবার বা পানীয়, এমনকি ঠাণ্ডা পানিও এ সময়ে খাবেন না।

৮. ধূমপান, মাদক ও তামাক সেবনও পুরোপুরি বর্জনীয়।

৯. নিয়মিত কালোজিরা-মধুর মিশ্রণ খান। কালোজিরা বেটে এক চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে খাবেন দিনে দুবেলা করে।

মধু প্রসঙ্গে সূরা আন-নহলের আয়াত ৬৯-এ বলা হয়েছে, "মৌমাছির উদর থেকে নিঃসৃত হয় বর্ণিল পানীয়। এতে মানুষের জন্যে রয়েছে নিরাময়"।

আর হাদিসে এসেছে, "তোমরা এই কালোজিরা ব্যবহার করবে। কেননা এতে মৃত্যু ছাড়া সব রোগের প্রতিষেধক রয়েছে।" (তিরমিযী)।

করোনা রোগ নিরাময়ে কালোজিরা-মধু যুগলের কার্যকারিতার বাস্তব প্রমাণ নাইজেরিয়ার ওয়ো (Oyo) রাজ্যের গভর্নর সেয়ি ম্যাকেন্দি। করোনায় আক্রান্ত হলে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে কালোজিরা এবং মধুর মিশ্রণ সেবন করে ১৫ দিনে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

সবচেয়ে ভালো অংকুরেই বিনাশ করা-ড. বিজন শীল

সাধারণত খুসখুসে কাশি দিয়ে শুরু হয় করোনা রোগ। সংক্রমণের একটা পর্যায়ে গিয়ে আক্রান্ত করে ফুসফুসকে।

দেশের প্রখ্যাত অণুজীববিজ্ঞানী ড. বিজন শীলের পরামর্শ হলো, সংক্রমণের প্রথম পর্যায়, অর্থাৎ যে-কোন ধরনের গলা খুসখুস বা কাশি দেখা দিলেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

করোনা, না করোনা নয়- এ নিয়ে চিন্তা করারও কোনো দরকার নেই। এক্ষেত্রে তিনি কিছু ভেষজ পদ্ধতির কথা বলেছেন।

আদা ও লবঙ্গ একসঙ্গে পিষে সেটাকে গরম পানিতে সিদ্ধ করে তার সঙ্গে কিছুটা চা দিয়ে ওটা এক কাপ মতো নিয়ে গার্গল করে খান দিনে অন্তত তিন-চার বার।

এতে গলার ভেতরের কোষগুলোতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। কোষগুলো শক্তিশালী হবে এবং সমর্থ হবে করোনাভাইরাস যদি আক্রমণ করে, তাকে প্রতিরোধ করতে।

যাদের গলা খুস খুস করে না বা কোন কাশিও দেখা দেয় নি, তারাও এটা নিয়মিত দিনে দুইবার অন্তত দু'কাপ খাবেন।

পাশাপাশি যাদের সুযোগ আছে তারা এখন নিমপাতা খেতে পারেন।

নিমপাতা একটু পানি দিয়ে পিষতে হবে। যে সবুজ রঙের রস বের হবে সেটার সঙ্গে গরম পানি মিশিয়ে তা গরগরা করে খেতে হবে। এর ফলে গলার কোষগুলোর ইমিউনিটি বাড়বে।

করোনা রোগীর পরিচ্ছন্নতা

ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা একান্ত আবশ্যক। ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন; সাবান-পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে ভালোভাবে কচলে হাত ধোবেন।

পোশাক-আশাক ও ব্যবহার্য জিনিসপত্রও সব সময় পরিষ্কার রাখবেন।

হাতের কাছে এক বা একাধিক রুমাল রাখুন; রুমালে নাক-মুখ ঢেকে হাঁচিকাশি দিন।

যে কক্ষে আইসোলেশনে থাকবেন সেটা যেন নোংরা বা স্যাঁতস্যাঁতে না হয় এবং পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকে।

সম্ভব হলে পৃথক বাথরুম/ টয়লেট ব্যবহার করুন। টয়লেট সবসময় পরিচ্ছন্ন রাখবেন।

পৃথক বিছানা-বালিশ ও থালাবাসন ব্যবহার করবেন;

খেয়াল রাখুন নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে, ভাইরাসকে পেয়ে বসতে দেবেন না

কারণ পেয়ে বসলে যে-কোন ভাইরাসই আপনার জন্যে ক্ষতির কারণ হবে; এমনকি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে সাধারণ মানের ভাইরাসও।

আমাদের শরীরের যে নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আছে তার কাজই হলো চারপাশের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস-এর সংক্রমণ ঠেকিয়ে দেয়া বা আক্রান্ত হলে তা নির্মূল করা। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা যখন মানসিক চাপ, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় থাকি তখন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

বিশেষত যাদের আগে থেকে হৃদরোগসহ বিভিন্ন ক্রনিক ব্যধি আছে তাদের ক্ষেত্রে সরাসরি করোনাভাইরাসের দরুণ ক্ষতি না হলেও রোগ নিয়ে দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কের কারণে বড় কোনো মূল্য দিতে হতে পারে- এর দৃষ্টান্তও কিন্তু কম নেই!

তাই সবসময় করোনাভাইরাস নিয়ে পড়ে থাকবেন না- বলছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের 'চাইল্ড এডোলেসেন্ট অ্যান্ড ফ্যামিলি সাইকিয়াট্রি' বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ।

অন্যদিকে, সিডিসি-এর পরামর্শ, ফেসবুকসহ সংবাদমাধ্যমে করোনা বিষয়ক সংবাদ দেখা, পড়া ও শোনা থেকে বিরতি নিন। ঘরের মধ্যে ব্যস্ত থাকুন আপনার পছন্দের বা শখের কাজ নিয়ে।

মেডিটেশন, যোগব্যায়াম এবং প্রাণায়াম/ দমচর্চা করুন- দুশ্চিন্তার মাত্রা কমাতে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল-এর পরামর্শ এটা। শিথিলায়ন, সুখী জীবন, হিলিং, আনন্দ বা পছন্দসই অন্য কোন মেডিটেশন দিনে দুই/ তিন বেলা করুন।

নিয়মিত ব্রিদিং এক্সারসাইজ বা দমচর্চা শ্বাসনালীর অন্যান্য সংক্রমণের মতো করোনাভাইরাস মোকাবেলায়ও সহায়ক হতে পারে।

তবে শারীরিক দুর্বলতা থাকলে ব্যায়াম না করা-ই ভালো।

আর, সমাজবিচ্ছিন্ন হবেন না- শারীরিক দূরত্ব মেনে প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখুন।

এই রোগে এখন পর্যন্ত দেশে মৃত্যুর হার মাত্র ১.৩৪%! (আইইডিসিআর, ৬ জুন ২০২০) অর্থাৎ, করোনায় আক্রান্ত হলেই মৃত্যু নিশ্চিত-ব্যাপারটা মোটেই তা নয়। 

তাই আতঙ্কিত হবেন না; বিশ্বাস রাখুন নিজের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর। এই আস্থা ও বিশ্বাসই উজ্জীবিত করবে আপনার ইমিউন সিস্টেমকে।

পরিবারে কেউ করোনা-আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই!

রোগীর সাথে একই ছাদের নিচে থাকলেই আপনি সংক্রমিত হবেন না। নিয়ম মেনে তার শুশ্রূষা আপনি অবশ্যই করতে পারেন।

তাই করোনায় আক্রান্ত পরিবারের সদস্যটির পাশে থাকুন। আপনার একটু সহানুভূতি-আশ্বাস-সেবা তাকে সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে।

আসলে করোনায় আক্রান্ত রোগী সামাজিকভাবে যে অচ্ছ্যুতের আচরণ পায় এটাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। অথচ রোগীরা তাদের প্রাপ্য মমতা ও যত্ন পেলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার অনেক কম হবে।

রোগীর শুশ্রূষায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কিছু পরামর্শ

রোগীর হাঁচিকাশির সময় বেরিয়ে আসা ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায় করোনাভাইরাস। এক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্যরা রোগীর সাথে এক মিটার বা তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখলেই চলবে।

ভালো স্বাস্থ্য এবং কোন ক্রনিক ব্যাধি নেই বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল নয়- রোগীর শুশ্রূষার দায়িত্বে এমন নির্দিষ্ট একজন থাকাই ভালো।

মেডিকেল মাস্ক পরুন। মাস্কের সম্মুখভাগ হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন না। কাজ শেষে অবিলম্বে মাস্ক ফেলে দিন।

খালি হাতে রোগীর কফ থুথু সর্দি প্রস্রাব মল ইত্যাদি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। এগুলো পরিষ্কারের জন্যে এবং রোগীর নাক-মুখে কোনো শুশ্রূষা প্রয়োজন হলে অবশ্যই হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক পরতে হবে। একই মাস্ক ও গ্লাভস একাধিকবার ব্যবহার করবেন না।

মাস্ক গ্লাভস টিস্যু ও রোগীর অন্যান্য আবর্জনা রোগীর কক্ষে ঢাকনাযুক্ত ময়লার বিনে ফেলুন।

রোগীর শরীর বা তার ব্যবহার্য কোন কিছুর সংস্পর্শে আসার পর, কাজ শেষে এবং মাস্ক ও গ্লাভস অপসারণের আগে-পরে সাবান-পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে ভালোভাবে কচলে হাত ধুতে হবে। হাত না ধুয়ে নিজের চোখ, মুখ বা নাক স্পর্শ করবেন না।