published : ১২ আগস্ট ২০১৮
মা, একটা গল্প বলো। শিশুর এই আবদার শুনে নি, এমন মা নেই। শুনতে চাইলে অবশ্যই বলুন। শোনার আবদার না করলেও তাকে প্রস্তাব করুন, একটা গল্প শুনবে? দেখবেন, কাছে এসে ভিড়ছে। গল্প শোনার আগ্রহ শুধু শিশুদের নয়, আমাদের বড়দেরও কম কীসে। জানেন ভাবী, সেদিন কী হয়েছিল? এটি শোনার পর ভাবীরা সাধারণত কান খাড়া করে ঠিকঠাক হয়ে বসেন অনেকক্ষণ ধরে কিছু গালগল্প শোনার জন্যে। গল্প ভালো, আরো ভালো শিক্ষণীয় গল্প, কিন্তু গালগল্প ভালো নয়। কখনো কখনো এটি আন্দাজ, অনুমান, এমনকি ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ পরচর্চা, গীবতের সুযোগ সৃষ্টি করে। আর ওদিকে? একটি ভালো গল্প শিশুর মনে কল্পনা করার ক্ষমতা সৃষ্টি করে। এভাবে কল্পনা করার সামর্থ্য তার সৃজনীশক্তি, উদ্ভাবনী শক্তি বাড়ায়।
তাই সুযোগ পেলেই গল্প বলুন। কাজের কথাগুলোই গল্পচ্ছলে বলুন। যেমন ধরুন, মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নামগুলোর সাথে সাথে আরো কিছু শেখাতে তাকে বলুন-
জানো! তুমি কীভাবে এসেছো আমার কাছে? আল্লাহ প্রথমে আমাকে বললেন, তুমি কী চাও? আমি বললাম, আমি একটি মেয়ে চাই। আল্লাহ বললেন, কেমন মেয়ে চাও? আমি বললাম, আমি তোমার মতো ফুটফুটে, মেধাবী, প্রাণবন্ত, হাসিখুশি, সুস্থ একটি মেয়ে চাই। আল্লাহ বললেন, মেয়েটি কেমন হওয়া চাই? আমি বললাম, পায়ের পাতা এরকম, পায়ের গোড়ালি এরকম, পা এরকম, হাঁটু এরকম, উরু এরকম, কোমর এরকম, পেট এরকম, পিঠ এরকম, বুক এরকম, ঘাড় এরকম, গলা এরকম, চিবুক এরকম, ঠোঁট এরকম, নাক এরকম, কান এরকম, চোখ এরকম, চোখের পাপড়ি এরকম, ভ্রু এরকম, কপাল এরকম, চুল এরকম, মাথা এরকম আর হৃদয়টা এরকম। আল্লাহ বললেন, দিয়ে দিলাম। আমি বললাম, পেয়ে গেলাম। শোকর আলহামদুলিল্লাহ! বলেছো? বলেছি।
যখন যেই অঙ্গের নাম বলবেন, তখন সেই অঙ্গে হাত বুলিয়ে দেবেন। এতে সে স্পর্শ পেল, তথ্য জানল এবং তার মস্তিষ্কে তা গেঁথে থাকল। চাইলে তিন মাস বয়স থেকেই বলে দেখতে পারেন দিনে একবার করে। দেখবেন যে, অনায়াসে সে যখন একটু একটু বুঝতে শিখছে, বলতে পারছে না এমন বয়সে, ঠিকই দেখিয়ে দিচ্ছে কোন অঙ্গটির নাম কী! তখন আপনার খুশিমুখ দেখার জন্যে অপেক্ষায়..